প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫ ২০:২০
অস্ত্রোপচারের পরে সেলাইয়ের জায়গায় চুলকানি খুবই সাধারণ একটি উপসর্গ। তবে যদি এটি দীর্ঘদিন থাকে—মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর—তাহলে তা হতে পারে একটি সুপ্ত জটিলতার ইঙ্গিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশ কয়েকটি কারণ এই চুলকানির পেছনে কাজ করতে পারে:
১. স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া:
স্নায়ু যদি অস্ত্রোপচারের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা সঠিকভাবে না জোড়া লাগে, তখন মস্তিষ্কে বিভ্রান্তিকর সংকেত যেতে পারে। এতে গভীরতর, অস্বস্তিকর চুলকানি হতে পারে যা সাধারণ চুলকানির মতো নয়।
২. ফাঙ্গাল ইনফেকশন (ডার্মাটোফাইটোসিস):
সেলাইয়ের জায়গা যদি ঘামে ভিজে থাকে বা শুকনো না হয়, সেখানে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। এটি আরও চুলকানি ও লালচে ভাব সৃষ্টি করে।
৩. দেরিতে প্রকাশ পাওয়া অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া:
কোনো ওষুধ, সেলাইয়ের সুতা কিংবা ড্রেসিং উপাদানে শরীর অনেক সময় দেরিতে প্রতিক্রিয়া জানায়। এতে মাস বা বছর পরেও অ্যালার্জির মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
৪. স্কার কনট্র্যাকচার:
সেলাইয়ের দাগ যদি ত্বকের নিচের টিস্যুর সঙ্গে আটকে যায়, তখন টান বা অস্বস্তি অনুভূত হয়, যা থেকে জন্ম নিতে পারে দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি।
ঘরোয়া প্রতিকার:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু ঘরোয়া উপায় এই ধরনের চুলকানি উপশমে সহায়তা করতে পারে:
ওটমিল বাথ: প্রাকৃতিকভাবে জ্বালা ও চুলকানি কমায়।
অ্যালোভেরা জেল: প্রদাহ কমিয়ে দেয় এবং ঠান্ডা অনুভব দেয়।
সিলিকন স্কার জেল বা শীট: দাগের টান ও চুলকানি হ্রাসে কার্যকর।
হালকা ম্যাসাজ: রক্ত চলাচল বাড়িয়ে স্কার টিস্যু নরম করে।
ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড়: ত্বকে চাপ দিয়ে চুলকানি কমায়।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি?
এক বছরের বেশি সময় ধরে স্থায়ী চুলকানি।
দাগ মোটা বা চামড়ার নিচে শক্ত গাঁট হয়ে গেছে।
বারবার ইনফেকশন হচ্ছে।
চুলকানির কারণে ঘুম বা দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হচ্ছে।
অস্ত্রোপচারের জায়গায় দীর্ঘমেয়াদি চুলকানি থাকলে তা হালকাভাবে না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সূত্র: ইন্টারনেট
স্বাস্থ্য থেকে আরো পড়ুন