দেড় কুড়ি বসন্তের অস্তিত্ব বেশ উসকোখুসকো
যেমন এযাবৎকালের আমার মাথার চুল
তো কী তাতে?
আমি আউলাইয়া রাখতেই যে ভালো পাই।
আবার কখনোসখনো চিরনি বুলাই আউলা কেশে
সিধা সাধা ফিতা ফাঁড়ি, তেল মাখি-পানি দেই
বেরোই। শুকায়৷ ফের আউলায়, আউলাক।
তবে এবারের পরে যে বসন্ত আসবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশে,
সেবার আমি 'ছুলাইল মাথা বগোডুল' হব
নিজেকে গুছিয়ে করব নিপাট ভদ্রলোক
আর কবিতা লিখব না। কবিরা আগুছাইল্লা হয় যে!
একদিন গেঁয়ো কোনো মঞ্চে চড়ে দেব বক্তৃতা
আমার মাথায় যখন হালকা চুল গজাতে শুরু করবে।
তেলের ব্র্যান্ড পাল্টে সরিষায় ফিরে আসব
জুলুফ বেয়ে 'মিঠা তেল' পড়তে শুরু করলে
আমি ক্ষান্ত দেব এক গ্লাস জল চেয়ে।
আচমকা বাতাস আসলে ধেয়ে, পালাবো না
হবো চিৎ। কুড়ুল্লায় কুল্লায় উড়ে যাব আকাশে
তখন আমার চুল বাট্টি না লম্বা -
তা নিয়ে অহেতুক ব্যস্ত হতে হবে না কারো।
কেননা, ব্যক্তিবিশেষের যাপিত জীবন একান্ত নিজেরই।
সাহিত্য থেকে আরো পড়ুন