প্রকাশিত: ০৯ জুলাই, ২০২৫ ২১:৩০ (রবিবার)
‘প্রবাসীরা শুধু রেমিট্যান্স পাঠাবে, ভোট দেবে না, তা হবে না’

 বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ‘প্রবাসীরা শুধু অর্থ পাঠাবে আর তাদের ভোটাধিকার থাকবে না, তা হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা শুধু রেমিট্যান্স নয়, জীবন বাজি রেখে দেশের রাজনীতিতে ভূমিকা রাখছে। তাই তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেই হবে।’


বুধবার (৯ জুলাই) রাতে চকবাজার-বংশাল জোনের দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ড. মাসুদ বলেন, ‘প্রবাসীরা শুধু অর্থ, বুদ্ধি ও পরামর্শ নয়— নিজেদের পরিবার জিম্মি রেখে বিদেশের মাটিতে বসে আন্দোলনের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করছে। তারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে, তাই তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া অন্যায়।’

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী যেনতেন কোনো নির্বাচন চায় না, আর জনগণও তা হতে দেবে না। যারা গত ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকারের আন্দোলনের কথা বলে, তারা কি হাসিনা মার্কা নির্বাচন করে সেই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়?’ 

তার মতে, ভোটাধিকারের বাস্তবায়নে আগে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা জরুরি।

ড. মাসুদ বলেন, দলীয় স্বার্থ নয়, জাতীয় স্বার্থেই ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী সমাবেশের ডাক দিয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘দলীয় স্বার্থে সমাবেশ করলে তা হতে পারত দলের নিবন্ধন, প্রতীকের দাবি কিংবা কোনো নেতার মুক্তির দাবিতে। কিন্তু জামায়াত তা করেনি। কারণ, আমাদের অগ্রাধিকার জাতীয় স্বার্থ।’

পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ড. মাসুদ বলেন, ‘এই ব্যবস্থায় কেউ একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে পারবে না।’ 

তিনি অভিযোগ করেন, ‘কেউ কেউ এই ব্যবস্থায় আপত্তি জানাচ্ছে, যাতে একবার ক্ষমতায় বসতে পারলে ‘হাসিনার চেয়েও ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ’ চালু করে পরিবারতন্ত্রকে রাজতন্ত্রে পরিণত করা যায়।’

দুই মেয়াদের বেশি কেউ যেন প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন— এমন প্রস্তাবেও যাদের আপত্তি, তারা নিজের স্বার্থে সংস্কার চায় বলে মন্তব্য করেন ড. মাসুদ। সব রাজনৈতিক দলকে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জাতির স্বার্থে রাজনীতি করার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, জোন পরিচালক এস. এম. আহসান উল্লাহ এবং চকবাজার-বংশাল জোনের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।