
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবারও স্টুডেন্ট ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট শীঘ্রই চালু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে শর্ত এবার ভিসা পেতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেদনকারীদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম প্রোফাইল সর্বজনীন (public) রাখতে হবে, যাতে মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাদের মনোভাব ও কর্মকাণ্ড ভালোভাবে যাচাই করতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আবেদনকারীদের প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা হবে—তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, সংস্কৃতি, সরকার বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব পোষণ করেন কি না। যারা কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী, ইহুদি-বিরোধী, কিংবা বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন—তাদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
বিশেষ করে ‘এফ’ ক্যাটাগরির স্টুডেন্ট ভিসা, যা সাধারণত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়, সেটিই এই নির্দেশনার আওতায় পড়বে। পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য 'এম' এবং এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের জন্য 'জে' ভিসাও থাকবে নজরদারিতে।
পররাষ্ট্র দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, কোনো আবেদনকারী যদি তার প্রোফাইল প্রাইভেট রাখেন, তাহলে সেটি তাদের সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড গোপন করার চেষ্টা হিসেবেই বিবেচিত হবে।
এই পদক্ষেপকে ট্রাম্প প্রশাসনের 'জাতীয় নিরাপত্তা' নীতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ ঘিরে, ইহুদি-বিরোধিতার অভিযোগ তুলে নজরদারি বাড়িয়েছেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের বিলিয়ন ডলার অনুদান স্থগিত এবং ভিসা বাতিলের মতো সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছেন, যাদের অনেকে এসেছেন বাংলাদেশ থেকেও।